
দর্শনা থানা পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে দর্শনায় দিনেদুপুরে খৃষ্টান বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় ইসলামসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ আনা স্বর্ণ ও কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বাকি স্বর্ণ কোথায় গেলো। এ নিয়ে দর্শনায় নানা গুন্জন চলছে।
গত মঙ্গলবার দর্শনা আমতলা পাড়ার মনজু ঘোষ সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে র্স্বণসহ নগদ টাকা চুরি হয়ে গেছে। চোরদের মূলহোতাসহ ৪জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আংশিক স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মনজু রানী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু স্বর্ণ উদ্ধার হলো। তাহলে বাকি স্বর্ণ ও নগদ টাকা, ডলার কোথায় গেলো। এ দাবী তার ভাই ডেবিড ঘোষও করেন।
গত মঙ্গলবার দিনরাত অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বৃত্তিপাড়া গ্রাম থেকে দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত বারেকের ছেলে চিহ্নিত আলোচিত চোর ইসলাম(৪৩) ও কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বৃত্তিপাড়া গ্রামের তাপস বিশ্বাস বাবুলের ছেলে স্বর্ণ ব্যাবসায়ী তপন বিশ্বাস(৩৭), একই গ্রামের অমৃত্য কুমার কর্মকারের ছেলে স্বর্ণ ব্যাবসায়ী অর্নব কুমার (২৭)কে গ্রেফতার করে ঐ এলাকা থেকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দর্শনা আমতলা পাড়ার লিয়াকত আলীর স্ত্রী চায়না বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করে।
পুলিশ তাদের কাছ থেকে ২ টি আংটির ভাঙ্গাচোরা টুকরো স্বর্ণ উদ্ধার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে বলে ২টি আংটি ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি উদ্ধার করে। গত ২১শে অক্টোবর এমনটায় আশাবাদী ভুক্তভুগি। তাদের ৪ জনকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। সেই সাথে তাদের রিমান্ডের আবেদন করেছে। রিমান্ডে নিলে বেরিয়ে আসবে আসল চুরির রহস্যগত ২১শে অক্টোবর এমনটায় আশাবাদী ভুক্তভুগি।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সঙ্গবদ্ধ চোরেরা, ঘরের গ্রীল কেটে ২১ ভরি স্বর্ণ নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার মনজু ঘোষ জানান সকাল ৮ টার দিকে কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যায়। স্কুল ছুটি করে দুপুর ১ টার দিকে বাসায় এসে দেখে চোরেরা ক্লাসিবল গেট কেটে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় চোরের দল ঘরের আলমারী ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা ৭ জোড়া স্বর্ণের চেইন, ১২ টি স্বর্ণের আংটি ৭ জোড়া হাতের রুলি, নাক ফুলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চোরেরা নির্বিঘ্নে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার জেরে দর্শনা থানা পুলিশ মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মন্জু রানী ঘোষ সে সময় দর্শনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা উদ্ধার হলেও বাকি স্বর্ণ ও টাকা কোথায় গেলো এমনটি দাবী করেছেন মন্জু রানী ঘোষ ও তার ভাই ডেবিড ঘোষ।
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, আসামী অন্তরকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে দর্শনার আজিমপুর এলাকার এক সাংবাদিক আমাকে ফোন করেন।

 
								
				

 
												