
দামুড়হুদার বিষ্ণুপুরে দারুল উলুম ফুরকানিয়া কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই পর পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আরাফাত হোসেন শিশির (২৫) দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মল্লিক পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে। গতকাল শনিবার বেলা আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গনে এই গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর দারুল উলুম ফুরকানিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলা আরাফাত হোসেন শিশির একই মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র (১২)কে ফুঁসলিয়ে বিভিন্ন সময়ে বলাৎকার করে আসছিল। ঐ মাদ্রাসা ছাত্র বাড়িতে ছুটিতে গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফিরে আসতে না চাইলে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে সে পরিবারের লোকজন কে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বলেন।
গতকাল শনিবার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মাদরাসায় গিয়ে ওই শিক্ষককে উত্তম মাধ্যম গণধোলাইয়ের পর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত কে হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানাগেছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ লাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আইনগত প্রক্রীয়াধীন।


