প্রতারক সেই মীর কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ২য় দফায় সরকারি ১০ শতক জমির খারিজ বাতিল করেছেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এর মধ্যে সরকারের দখলে ৬ শতক এবং ভ’ক্তভোগী বানুয়ারাকে ৪ শতক জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বাদি বানুয়ারা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম।
গাংনীতে সরকারি ১০ শতকের মধ্যে পোনে ৯ শতক জমিসহ ৩ অসহায়ের জমি নিজ নামে জাল খারিজ করে নেন তেরাইলের মীর কামরুজ্জামান।
গাংনী উপজেলা নির্বাহি কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম জানান, মীর কামরুজ্জামানের পিতা মীর লুৎফর রহমানকে পোনে ৯ শতক জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়।
পরে ২০০৫ সালে মীর লুৎফর রহমানের বন্দোবস্ত বাতিল করেন জেলা প্রশাসক স্যার। কিন্তু মীর কামরুজ্জামান ওই বন্দোবস্ত গোপন করে জমি খারিজ করে নেন।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের শুনানী করা হয়। শুনানি মীর কামরুজ্জামানের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে টেম্পারিংয়ের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এবং সরকারি খাস জমির খারিজ বাতিল করা হয়। এর মধ্যে বন্দোবস্তর ৪ শতক জমি বানুয়ারাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শূনানী শেষে মীর কামরুজ্জামানের খারিজ বাতিল করে অভিযোগকারী ২ জনের তেরাইল গ্রামের কালুর স্ত্রী রোজিফা খাতুন, রবকুল শাহ্ এর স্ত্রী মারজিয়া খাতুনের দাগ ৪৪৪৮ এবং ৪৪৪৯ জমির খারিজ তাদের বুঝিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় মীর কামরুজ্জামানের প্রতারণা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম শরিয়ত উল্লাহ বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রনোদিত মামলা করেন।
মামলায় পিবিআই কুষ্টিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মীর কামরুজ্জামানের খারিজ বাতিল করে তিন জনকে তাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।