
মেহেরপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে কৃতী শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৮টায় পৌর শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে এ উৎসব শুরু হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ৫৫৮ কৃতী শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন।
এক শপ্তাহ হলো মেহেরপুরে শীতের আবহাওয়া কমে গেছে। ফাগুনের মৃদ উঞ্চতা বিরাজ করছে সর্বত্র। এরি মধ্যে সকাল ৮টায় শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার পরই শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন নম্বর অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সনদ, ক্রেস্ট ও স্ন্যাকস বক্স সংগ্রহ করে। কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো সব চেয়ে বেশি।
সকাল আটটার দিকে একসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মালিহা, আনিকা, সামিয়া জামান, ঐশি খানম, রৃদিমা জান্নতসহ ১১জন শিক্ষার্থী। এসময় বন্ধুসভার উপদেষ্ঠা নৃত্য পরিচালক সোহাগের পরিচালনা কৃতী শিক্ষার্থীদের নৃত্যর মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে মুল মঞ্চে ফাগুনে আগমনী নৃত্য পরিবেশন হয়। সমবেত নৃত্যতে ১৪জন বন্ধু অংশগ্রহন করে।
জিপিএ-৫ পাওয়া এই শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়েই প্রথম আলোকে বলে, প্রথম আলো থেকে সনদ পাওয়া অনেক অনেক গর্বের। এমন সংবধর্নায় যোগ দিতে পেরে নিজেদের আজ গর্বিত মনে হচ্ছে। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম আলো যদি এমন ভাবে অনুপ্রেরনা দেয় তবে সমাজ একদিন বদলে যাবে।
সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উৎসব। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সকাল সোয়া ১০ টার দিকে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। বন্ধুসভার সদস্য মোহাইমিনুর আবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদ। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান, চুয়াডাঙ্গার প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ।
এসময় প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ বলেন, কৃতী শিক্ষার্থীরা সমাজ ও পরিবারের মুখ উজ্জল করেছে। আজকের অনুষ্ঠানে সকল কিছু তাদের সম্মান জানানোর জন্য করা হয়েছে। আগামী কৃতী শিক্ষার্থীরা উন্নত মানুষ হয়ে দেড় গড়ার অঙ্গিকার নেবে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃতিত্ব রাখবে।
সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা হচ্ছে তাদেরকে উজ্জিবিত করা। সকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরো মেধাবি গড়ে তোলবে। সমাজের অন্ধাকারে আলো ছড়িয়ে দেবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে সত্যিকারের মানুুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ সফিউল ইসলাম সর্দার বলেন, কৃতীদের সংবর্ধনা আয়োজনে পৃষ্ঠপোশক শিখো ও প্রথম আলোকে অনেক শুভকামনা। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম আলোকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা জিপিএ ফাইভ পেয়েছে তারা আগামীতেও প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য সৎ,ন্যায়পরায়ন হতে হবে। মাদকের বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। একজন মেধাবি শিক্ষার্থী হলেই হবে না। অবশ্যায় তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।
সুধিজনদের বক্তব্যর মাঝে মাঝে বন্ধুসভার সদস্যরা গান, নৃত্য নিয়ে আসেন।, বন্ধুসভার সদস্য শাম্মি, বনান্তি, আদিৃতা একক নৃত্য পরিবেশন করে। ব্যন্ড সঙ্গিত পরিবেশন করে বন্ধসভার রোহান, ফাগুন।

								
				
