স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং ন্যায্য পে-স্কেল নিশ্চিতকরণসহ একাধিক দাবিতে সারাদেশের মতো মেহেরপুরেও দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।
সোমবার (৫ মে) সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, মেহেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর ‘মাসদার হোসেন’ মামলার রায়ের প্রেক্ষিতে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হলেও আজও বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়নি।
তাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র বিচারকদের জন্য পৃথক পে-স্কেল, বিচারিক ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হলেও সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, পদোন্নতির সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেকেই দীর্ঘদিন একই পদে থেকে অবসরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ (১ম গ্রেড) জেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার বিচারিক কর্মকর্তা হলেও অধস্তন কর্মচারীদের বেশিরভাগই ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে চাকরি করছেন। অন্যান্য দপ্তরের তুলনায় তাদের পদোন্নতির সুযোগ কম এবং ব্লক পদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কর্মজীবনে উন্নতির সুযোগ মেলে না।
কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ও চীফ জুডিশিয়াল স্টেনোগ্রাফার শেখ মোহাম্মদ আহসানুল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, জাকির হোসেন, সফিকুল ইসলাম (প্রধান তুলনাকারক, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত), অফিস সহায়ক বেদেনা বাবলী, প্রধান তুলনাকারী সহকারী আমিনুল ইসলাম এবং আব্দুল মুত্তালিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।