
মেহেরপুরে মাদক রাখার অপরাধে পৃথক মামলায় মোঃ রাকিবুর হাসানকে ১ বছর, মোঃ সুমন, মোঃ লিজন ও মোঃ স্বপনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাজাহান আলী এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখার এ.এস.আই মোঃ ইব্রাহিম বিশ্বাস ফোর্স নিয়ে মেহেরপুর পৌর এলাকার কাখুলি বাসস্ট্যান্ডে বিশেষ অভিযানে যান। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে গোভিপুর দিক থেকে তিন ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ শহরের দিকে আসছে। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে ধৃত করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
তল্লাশিতে আসামী রাকিবের ট্রাউজারের পকেট থেকে নীল প্যাকেটে মোড়ানো ৪১ পিস ইয়াবা, সুমনের জিন্সের পকেট থেকে ৫ পিস ইয়াবা এবং লিজনের পকেট থেকে আরও ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মোট ৫১ পিস ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ভোররাতে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বপনকে আটক করে। পরে তার জিন্স প্যান্টের পকেট থেকে ডারবি সিগারেটের প্যাকেটে লুকানো ২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের পর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে, রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা। সুমনের বিরুদ্ধে ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা। লিজনের বিরুদ্ধেও পূর্বে মাদক মামলার রেকর্ড রয়েছে। এছাড়া স্বপনের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১২ ও ২০১৭ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি এবং একই বছরে দণ্ডবিধির ৪৫৭/৩৮০ ধারায় আরেকটি মামলা এখনও চলমান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা শেষে আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।