প্রতিষ্ঠার ৮ম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে মেহেরপুর প্রতিদিনকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন শুভাকাক্সক্ষীরা। তাঁরা বলেছেন, সত্য তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে মেহেরপুর প্রতিদিন এখন জন-জীবনের অংশ। ৭ বছর ধরে পাঠক মেহেরপুর প্রতিদিন ওপর আস্থা রেখেছেন, এটাই সংবাদমাধ্যমটির বড় অর্জন।
রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্টজনদের উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানস্থল। আগত অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, জনমানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণেই পত্রিকাটি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মেহেরপুর প্রতিদিন কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে পত্রিকাটি সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে-এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
৭ বছর পেরিয়ে গতকাল শনিবার ৮ বছর পদার্পনে মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়া মেহেরপুর প্রতিদিনের কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মেহেরপুর প্রতিদিনকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, কবি সাহিত্যিক, পাঠক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। অনেকে ই-মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা ফুল, কেক ও মিষ্টি নিয়ে এসে শুভেচ্ছা জানান।
মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনের সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব চান্দুর সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা জানাতে মেহেরপুর ১ আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে প্রধান অবস্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানের কঠিন অবস্থার মধ্যেও সত্যের জায়গায় রয়েছে। মানুষ কোনো ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, এই বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি মেহেরপুর প্রতিদিনের ৮ বছরের সবচেয়ে বড় অর্জন।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাঠক হিসেবে মনে করি, দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা মেহেরপুর প্রতিদিনে হয়।’ তিনি বলেন, ‘মেহেরপুর প্রতিদিন গুণমান ও গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে, সেই প্রত্যাশা করি।’
মেহেরপুর প্রতিদিন নিজের জীবনধারার অংশ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। তিনি বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন পুরো পরিবারের পত্রিকা। এই এলাকার মানুষের কাছে বিশ্বস্ত গণমাধ্যম। পত্রিকাটি দীর্ঘ ৮ বছরে সাংবাদিকতাকে অনন্য স্থানে নিয়ে গেছে।
সংবাদের বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে পাঠক মেহেরপুর প্রতিদিনের ওপর নির্ভর করে।
মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন ৭ বছরে অতিক্রম করেছে। এই সাত বছরে মেহেরপুর প্রতিদিন কোন ক্ষমতার কাছে, কোন কর্পোরেটের কাছে নত হয়নি। বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতায় পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আগামীতে তারা ধারা অব্যাহত রাখবে।
সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক ড. গাজী রহমান বলেন, সংবাদপত্র বলতে যা বোঝায়, তা ধারণ করে মেহেরপুর প্রতিদিন। মেহেরপুর প্রতিদিনে পাঠকপ্রিয়তা ও আস্থার জায়গা ধরে রাখতে হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতি মেহেরপুর সভাপতি মারুফ বিজন বলেন, গণতন্ত্রের তিনটি প্রধান স্তম্ভের কথা বলা হয়। কিন্তু গণতন্ত্র কখনোই তার চতুর্থ স্তম্ভ ছাড়া চলতে পারে না। আর সেই চতুর্থ স্তম্ভই হলো স্বাধীন সংবাদপত্র। স্বাধীন সংবাদপত্র মানেই হলো স্বাধীন দেশে জনগণের অধিকারের কথা বলা। মেহেরপুর প্রতিদিন মেহেরপুরের ১০ লক্ষ মানুষের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়েছে। আমি আশাকরি মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদকসহ সংশ্লিস্টরা তাদের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে জনগণের অধিকারের কথা তুলে ধরবে।
ব্যবসায়ী নেতা আনোয়ারুল হক কালু বলেন, সমাজের যে কোনো অসঙ্গতি যথাযথভাবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরে মেহেরপুর প্রতিদিন।
শুভেচ্ছা জানাতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলমগীর খান সাতু, যুগ্ম আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক ফয়েজ মহাম্মদ, মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু, অ্যাড নজরুল ইসলাম, অ্যাড, মিজানুর রহমান, মেহেরপুর চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল হক কালু, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ ফোরকান আলী, মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মোহাম্মদ কামাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জিয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান, ব্যবসায়ী আজিরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও লেখক নুরুল আহমেদ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এমদাদুল হক, শিক্ষক জিয়াউর রহমান, ইমাম সাইফুল ইসলাম, কাথুলী ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম।
এ সময় মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বার্তা সম্পাদক জুলফিকার আলী কানন, দর্শনা প্রতিনিধি আহসান হাবীব মামুন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, দর্শনা প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন, দামুড়হুদা প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম এবং আইটি বিশেষজ্ঞ মুন্ত্রী জাহাঙ্গীর জিন্নাত হিরক, গাংনী প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান, মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শেরখান, মুজিবনগর প্রতিনিধি সানোয়ার হোসেন ডালিম, স্টাফ রিপোর্টার পলাশ আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার সাকিব হাসান রুদ্র, ডি এম মোকিদ, ডেস্ক ইনচার্জ মোঃ রাফি হাসান, ইয়াসির ইউসুফ ইমন প্রমুখ।