
কাঁচা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে আসায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা মরিচের উচ্চমূল্যে বিপাকে পড়া ক্রেতারা এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বাকি সকল সবজির দাম স্থিতিশীল।
বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগি ও মাছের দামে নানা রকম ওঠানামা দেখা গেছে। কিন্তু সবজির দাম স্থিতিশীল।
মেহেরপুর পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঠিক মতো সরবরাহ থাকায় বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি বাজারে আলু ১৫ থেকে টাকায় স্থিতিশীল , পেয়াজ ৬০ থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায়, রসুন ৭০ টাকায় অপরিবর্তিত থেকে বিক্রি হয়েছে। তবে কাঁচামরিচের দাম নিম্নমুখী সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধেকেরও কম গত সপ্তাহে যেখানে ছিলো ২৬০ টাকা এ সাপ্তাহে ১০০ টাকা।
ঢেঁড়স, বেগুন, পটল অপরিবর্তিত থেকে ৪০, ৭০, ৫০ টাকা। শশা, মূলা ২৫,২০ থেকে বেড়ে ৩৫,২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাক, পেঁপে কেজিপ্রতি ৩০,১৫ টাকায় স্থিতিশীল, ঝিঞা ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায়, ধন্দল ১৫ থেকে বেড়ে ২৫ টাকা।
গজর ও টমেটো তে ও কমেছে দাম। গাজরে ২০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছ ১২০ টাকা, টমেটো তে ১৪ টাকা কমে ১১৬ টাকা।
খুচরা বাজারে আলু, পেয়াজ রসুন, ২০, ৭০,১০০ টাকায় অপরিবর্তিত। তবে কাঁচামরিচের দাম কমেছে, গত সপ্তাহে যেখানে ছিলো ৩০০ টাকা এ সাপ্তাহে ১৪০ টাকা।
ঢেঁড়স অপরিবর্তিত থেকে ৫০ টাকা। বেগুনে ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা। শাক, শশা ও মূলা অপরিবর্তিত থেকে ৪০ টাকায় করে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ও ঝিঞা ২০ ও ৫০ টাকায় স্থিতিশীল। ধন্দলে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা।
গজর ও টমেটোতে ও কমেছে দাম। গাজরে ২০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছ ১৪০ টাকা, টমেটো তে ১০ টাকা কমে ১৩০ টাকায় অপরিবর্তিত।
মুরগি বাজারে ব্রয়লার মুরগী ও সোনালী মুরগীতে কেজিপ্রতি ১৮০ ও ২৮০ টাকা স্থিতিশীল এবং লেয়ার মুরগিতে ১০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি ব্যবসায়ী মিরাজ বলেন গত সপ্তাহ এবং এই সপ্তাহ মুরগির দামে কোনরকম কম বেশি নেই সব দাম একই আছে।
মাছের বাজারে রুই ২৮০-৩২০, তেলাপিয়া ১৮০, পাঙাশ ১৭০, সিলভার ১৭০, জিওল ৩৫০, চিংড়ি ১১০০, পাকাল ৭০০-১১০০।
মাছ ব্যবসায়ী সিরাজ বলেন মাছের আমদানি ঠিক থাকায় বাজারে পরিমাণ মতো মাছ আসছে। ঠিকমতো বাজারে মাছ আসার কারণে মাছের দাম অনেকটাই কম।
ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় এবং গরুর মাংস সর্বদা ৭৫০ টাকায় অপরিবর্তিত।
সবজি বিক্রেতা শহিদুল বলেন, “গত সপ্তাহে মরিচের অভাব ছিল, তাই দাম বেশি ছিল। এখন পরিমাণ মতো বাজারে মরিচ আশায় দাম অর্ধেক হয়ে গেছে।
সবজি বিক্রেতা সবুজ বলেন, সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকাই এবং কাঁচা মরিচের দাম কম হওয়ায় বেচা কেনা বেড়েছে এবং ক্রেতারা অনেক বাজার করছে, মোটামুটি ভাল রকম বেচাকেনা হচ্ছে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ ও এই সপ্তাহে সবজির দাম অপরিবর্তিত শুধু কাচা মরিচের দাম অর্ধেক।
সবজি ক্রেতা সামসুজ্জোহা বলেন, সবজির দাম কমেছে আবার বেড়েছে পেঁয়াজ ছিল ৬০ টাকা ৭০ টাকা হয়েছে, আবার রসুন ছিল ১২০ টাকা ১০০ টাকা এসেছে। অন্যদিকে কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে যেটা ৩০০ টাকা কিনলাম আর সেটা ১৪০ টাকা । দাম কম কমে আসায় পরিমাণের থেকে বেশি বাজার করতে পারছি।
সবজি ক্রেতা সোহেল রানা বলেন, আমরা সাধারণ মানুষরা সবসময় চাই বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নাগালে থাকুক। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছিলাম কমে আসে চিন্তামুক্ত হলাম । অনেকটাই বেশি করে কিনছি।
মেহেরপুর তহ বাজার সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, কাঁচা বাজার এখন পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। শাক- সবজি সবকিছুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আসলে কাঁচা মালের দাম তো সব সময় আবহাওয়া তারপর আমদানির ওপর নির্ভর করে। আমদানি ঠিক থাকায় কাচামালের দাম এখন অনেক কম এবং স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কাঁচা মরিচ দাম এখন অর্ধেক। কিছুদিন পরিমাণ মতো আমদানি না থাকাই দাম অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেছিলো। গত কয়েকদিন বাজারে ঠিকমতো কাঁচা মরিচ আশায় দাম স্বাভাবিক হয়ে গেছে গত সপ্তাহে যে কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা খুচরা বিক্রি করেছিল এ সপ্তাহে ওই কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা যা অর্ধেকের থেকেও কম।