সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়ালেন জহির হোসেন চঞ্চল। তিনি মুজিবনগর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের একজন প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং চলতি বছরের ৩০ মার্চ তিনি প্রাক-নিয়মিত অবসর (পিআরএল) গ্রহণ করেন। পিআরএলে যাওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর আমঝুপি ইউনিয়ন শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।
গতকাল মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাপাড়া গন্ধরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
সরকারি কর্মচারী আচরণবিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে বা কোনোভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া ৩২ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে, এই বিধিমালার কোনো ধারা লঙ্ঘন শৃঙ্খলাভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জহির হোসেন চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ অবসরে গিয়েছি। যেহেতু অবসরে আছি, তাই রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছি। তবে চাকরি বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা, সেটা ভেবে দেখিনি।”
উপজেলা পর্যায়ের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, পিআরএল শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে সরকারি চাকরি বিধি মেনে চলতে হয়। সে হিসেবে, পিআরএল চলাকালীন রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল এবং এর জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
মুজিবনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন বলেন, “পিআরএলে থাকাকালীন রাজনীতিতে অংশ নেওয়ায় কোনো বাধা নেই। আগে আরপিএল থাকাকালে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য ছিল।”
তবে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, “পিআরএলে থাকা অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারী সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা পান। তাই ওই সময় কেউ রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন না।”