বেঞ্চ থেকে ফিরেই বাজিমাত করেছেন রিশাদ হোসেন। লাহোর কালান্দার্সের বাকি সবাই যখন দেদারসে রান বিলিয়েছেন, টাইগার লেগি তখন রাশ টেনে ধরেছিলেন কিছুটা। হার অবশ্য রুখতে পারেনি, এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছুও করতে পারেননি। তবে দলের হারের দিনে রিশাদ পেয়েছেন দারুণ এক রেকর্ডের দেখা।
পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পিএসএলে রিশাদ ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের দুই তারকাকে। পাকিস্তানের এই লিগটিতে আগে খেলে গেছেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের হয়ে মাহমুদউল্লাহ এবং সাকিব খেলেছিলেন পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের হয়ে। দুজনেই সমান ৮ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর ইকোনমি ৭.৬৬ ও ৭.৯০। এই দুজনকেই দুইয়ে নামিয়ে বাংলাদেশিদের মাঝে শীর্ষ দখল করেছেন রিশাদ।
টানা তিন ম্যাচ বেঞ্চে বসার পর একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। ব্যাটিংয়ে কিছু করতে পারেননি। বোলিংয়েও দলের পক্ষে ব্যবধান গড়তে পারেননি। ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ১৬০ রানের পুঁজি পেয়েছিল লাহোর। বোলারদের ব্যর্থতায় তা মাটি হয়েছে। এই হারে শেষ চারে থাকার শঙ্কায়ও পড়ে গেছে শাহিন শাহ আফ্রিদিদের দল।
রিশাদ ব্যাট হাতে এক বল খেলেছিলেন, রান করতে পারেননি। বোলিংয়ে তিন ওভারে খরচ করেছেন ২৮ রান। নিজের করা প্রথম ওভারে ৭ রান খরচা করে ফেরান করাচির টপঅর্ডার ব্যাটার জেমস ভিন্সকে। দ্বিতীয় ওভারে দেন ১৩ রান। শেষ ওভারে ৮ রান খরচ করেন রিশাদ। দলের বাকিদের মাঝে তিনিই দ্বিতীয় কেউ যিনি ১০ এর নিচে (৯.৩৩) ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন। এদিনের এক উইকেটেই রিশাদ ভেঙেছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহর রেকর্ড উইকেট।
পিএসএলে শুরুর দিকে উড়ছিলেন রিশাদ। লেগ স্পিনে কাঁবু করছিলেন প্রতিপক্ষকে। টানা কয়েকটি ম্যাচে দাপুটে থাকা রিশাদ এক সময় আসরের শীর্ষ উইকেটশিকারী বোলারও ছিলেন। ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে তালিকায় এখন ১১ নম্বরে বাংলাদেশি বোলার। ওভারপ্রতি খরচ করছেন ৮.৭০ করে রান। রিশাদের দল লাহোর ৯ ম্যাচে সংগ্রহ করেছে ৯ পয়েন্ট। নাহিদ রানাদের পেশোয়ার জালমি বাকি তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতলে, বিদায় ঘণ্টা বাজবে রিশাদদের।
সূত্র: যুগান্তর