
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত ১ হাজার ৭৭২টি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ, মেহেরপুর জেলা শাখা।
আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শাখার ‘সভাপতি ইনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক রূপালী খাতুন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিবন্ধী বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনে এসব বিদ্যালয়ের অবদান অপরিহার্য।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়স গুলোকে সরকারিভাবে স্বীকৃতির আওতায় আনার লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০০৯ ও ২০১৯ সালে বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইন আবেদন আহ্বান করা হয়।
সেই প্রক্রিয়ায় মোট ২ হাজার ৭৪১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৭৭২টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হয়।
তবে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয় যে, ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত এসব বিদ্যালয়ের পরিদর্শন কার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। এর ফলে সারা দেশে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
স্মারকলিপিতে অবিলম্বে এসব বিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির কার্যকর নির্দেশনা জারি করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়। বলা হয়, “রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত হলে শিক্ষকরা না খেয়ে থাকবেন না এবং প্রতিবন্ধী শিশুরাও শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না।”