জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বেশ কিছু ঘর বিধ্বস্তসহ ফসলাধি নষ্ঠ। ঝড়ে ঘরের দেয়াল চাপায় গুরুত্বর আহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার । এছাড়া গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে রাতে আঘাত হানা কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত তালিকা করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের দেওয়াল ও টিন উড়ে গঙ্গাদাশপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের মেয়ে মোছাঃ বেলি খাতুন গুরুত্বর আহত হয়েছে। ঘর তৈরি করবে এমন সামথ্য না থাকায় ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা অন্যর বাড়িতে রাত যাপন করছে। একই অবস্থা দিনমজুর শহিদুল ইসলাম,জিয়াউর রহমানের পরিবারের।
জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন,কালবৈশাখী ঝড়ে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে আমরা তালিকা তৈরি করছি তালিকা তৈরি শেষে উপজেলাতে জমা দিব ।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মোট ক্ষতির পরিমান হিসাব করা হয়েছে সাড়ে ১২হেক্টর জমি এবং আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হেক্টর জমি। তবে কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।