চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ড্রাগন ফল নিয়ে অপপ্রচারকারী ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ড্রাগন ব্যবসায়ী ও চাষীরা। আজ সোমবার সকাল ১০টার সময় জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে মুক্তমঞ্চের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয় হয়।
ক্ষতিকর হরমোন ও বিষ প্রয়োগ করে ড্রাগন ফলের আকার বৃদ্ধির মিথ্যা অপপ্রচারে ধ্বস নেমেছে ড্রাগন ব্যবসায়। চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন অন্ঞ্চলে শত শত কৃষক ফেসবুক ও ইউটিউবে এমন মিথ্যা প্রচারণায় পথে বসেছে। এখন আর কেউ ড্রাগন ফল কিনতে চাচ্ছেন না। এদিকে পুষ্টিকর ড্রাগন ফল নিয়ে ইউটিউবে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোর জেলার ড্রাগন ব্যবসায়ী ও চাষীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য এসব ফল উৎপাদন করি। আমরা যেসব ওষুধ ব্যবহার করি, সেটি যদি মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে কৃষি বিভাগ অথবা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের জানাক। কোন ওষুধ আমরা ব্যবহার করব, আমরা সেগুলো ব্যবহার করব। ইউটিউবাররা তো বিশেষজ্ঞ না। তারা কীভাবে বলতে পারে ড্রাগন ফলে যেসব টনিক ব্যবহার করি, সেগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর।’
বক্তারা আরোও বলেন, একটি চক্র ড্রাগন ফলের বাজারে ধ্বস নামাতে ফেসবুক ও ইউটিউবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারের কারণে দেশের ড্রাগন চাষি ও ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সাথে দেশের অর্থনীতি ও ক্ষতি হচ্ছে। ড্রাগন ফলে টনিক ব্যবহার নাকি ক্ষতিকর এ অপপ্রচার করছে তারা। যেকারণে বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক কমে গেছে। তাই এ অপপ্রচার বন্ধে ব্যবস্থা ও অপপ্রচারকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
জীবননগর উপজেলা বালাইনাশক কমিটির আহ্বায়ক বকুল বলেন, ‘ভারতীয় যে হরমোনের কথা বলা হচ্ছে, আমরা সেই হরমোন বিক্রি করি না। আমরা বাংলাদেশ সরকারি অনুমোদিত হরমোন বিক্রি করি। এতে কোনো ক্ষতিকর উৎপাদক নেই। কিছু ইউটিউবাররা ভারতীয় হরমোনের প্রচার ও অবৈধভাবে বিক্রির জন্য এই কাজ করছে।’
এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জীবননগর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জসিমউদ্দীন, জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি ও ফল চাষী শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, তরুণ উদ্যোক্তা রুহুল আমিন রিটন, চাষী রমজান,রাজেদুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ প্রধান প্রমূখ।