চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি আয় গত বছরের চেয়ে ৯.৫১ শতাংশ বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে ১৩.৬৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে দেশ ১২.৪৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এতথ্য প্রকাশ করেছে।
গত আগস্টে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে দেশ। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ৩.৫০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
রপ্তানি আয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৫১ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা শুধু সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। রপ্তানি আয় বেড়েছে গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ১০.৩৭ শতাংশ। রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশের ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে এই আয় ছিলো ৬.৬৭% বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৫২.০৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৬২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর দেয়া তথ্য থেকে দেখা যায়, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান অংশ এসেছে, ১১.৬১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এই তিন মাসে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৫.৮৯% এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এই সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে তৈরি পোশাক থেকে আয় বেড়েছে ১৩.০৭%।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬.৭৬ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯.৭০%। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৫.৪২%। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পণ্য রপ্তানির মোট আয়ের অর্ধেকই এসেছে নিট পোশাক থেকে। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ৪.৮৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৯৭%।
পোশাক খাত ছাড়াও রপ্তানিতে ভালো খবর দিচ্ছে ওষুধ শিল্প। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় বেড়েছে প্রায় ২৬%। প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানিও গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেড়েছে ১৬.২৪%।