বাংলাদেশে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন’ শব্দ ব্যবহার করার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, ” ধর্ষণ শব্দটা ব্যবহার করবেন না প্লিজ, আমাদের শুনতে খুব খারাপ লাগে। আপনারা নারী নির্যাতন বলবেন, নারী নিপীড়ন বলবেন। আমাদের যে আইনটা আছে এটা নারী ও শিশু নির্যাতন। মূল হেডিং নারী ও শিশু নির্যাতন আইন। সো, যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে আমরা না বলি।”
ডি এম পি কমিশনারের শব্দটি ভালো না লাগতেই পারে। কোন শব্দটা তার ভালো লাগবে আর কোনটা ভালো লাগবে না সে অধিকার তার আছে। তাই বলে কীভাবে তিনি এই অদ্ভুত ও অমূলক অনুরোধটি করলেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আইন, আইনের ব্যাখ্যা ও শাস্তি সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা আছে নিশ্চয়ই । ধারণা থাকা স্বত্বেও তার শুনতে ভালো লাগছে না বলে তো সংজ্ঞা ও শাস্তি পাল্টে যাবে না। ধর্ষণ শব্দটা শুনতে ভালো না লাগলে, ধর্ষণ বন্ধ করুন, তা না করে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধকে ’নারী নির্যাতন’ বলে হালকা করার চেষ্টা করছেন কেন?
নারী নির্যাতন শব্দটি নানান অর্থে ব্যবহার হতে পারে। শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যৌন হয়রানি। একজন নারীকে চড় মারা, কোনও নারীকে যদি শ্লীলতাহানি করা হয়। গায়ে হাত দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ, যদি তাঁর সঙ্গে কোনও ধরনের লিঙ্গবৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। নারীর আয় কেড়ে নেওয়া, নারীকে বিশ্রাম ও বিনোদনের সুযোগ না দেওয়া, প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে না দেওয়া, হাত খরচ না দেওয়া, মৌখিকভাবে লাঞ্চনা করা, অপমান করা, যৌতুক দাবি করা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলা সবই অপরাধ। এমনকি নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে অতিরিক্ত পোশাক পরানো বা নগ্ন করাও অন্যায়। এই সবগুলোই নারী নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। প্রতিটি নিগ্রহের চেহারা কিন্তু আলাদা।
ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত হলেও দুটো একই জিনিস নয়। ‘‘নির্যাতন একটা বড় স্পেক্ট্রাম, যার একেবারেই সুনির্দিষ্ট একটি অপরাধ হচ্ছে ধর্ষণ, আরও অন্যান্য যে অপরাধ আসলে নারী নির্যাতনের মধ্যে পড়ে। কাজেই ধর্ষণকে ‘নারী নির্যাতন’ বললে আসলে বড় দাগে এটিকে সুনির্দিষ্ট ভাবে দায়সারা হয় বা হালকা কীা হয়, সেটা একেবারোই উচিত হবে না। কারণ শব্দের মারপেঁচে অপরাধ আইনের ফাঁক ফোঁকরে বেরিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি আইনে যে বিষয়টি রয়েছে এটা কিন্তু নারী নির্যাতন বলতে কী বুঝায় এবং ধর্ষণ বলতে কী বুঝায়, তার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। কাজেই যদিও ডিএমপি কমিশনার বলেছেন- নারীর সম্মানার্থে। তার উদ্দেশ্য অবশ্য ইতিবাচক হলেও সুযোগ সন্ধানি হয়ে যাবে অপরাধীরা। আসলে এটি ব্যবহার করার কোনও সুযোগ আইনগতভাবে নাই। ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে এবং ধর্ষণসহ অন্যান্য সব অপরাধ যেগুলো নারী নির্যাতনের আওতায় পড়ে, সেগুলোকে গুচ্ছভাবে নারী নির্যাতন বলতে হবে। সেই জায়গাটাতে স্পষ্ট করা খুব জরুরি।’’
আইনজীবীরা বলছেন, ধর্ষণ, ইভ টিজিং (উত্যক্ত করা) বা হয়রানি- এসব অভিযোগে সুনির্দিষ্ট শাস্তি রয়েছে। তবে দেশের আইন শক্ত হলেও সংজ্ঞার ভুল ব্যাখ্যা ও ব্যবহারের কারণে ভুক্তভোগীর বিচার পাওয়া অনেক সময় দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের দেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞায় ভুল রয়েছে। প্রেমের প্রলোভন দেখানো- এটাকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় ঢুকিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এফআইআরে যখন লেখা হয় বিয়ের প্রেমের নামে প্রতারণা বা শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে, এর ফলে যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা হলো ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকেও খর্ব করা হয়েছে।”
দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এ নারীর শ্লীলতাহানি, যৌন পীড়নের দণ্ড হিসেবে যেমন সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে, তেমনি দণ্ডবিধি বা পেনাল কোডসহ অন্যান্য বিভিন্ন আইনে বিভিন্ন মেয়াদী দণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের শাস্তিও রয়েছে।
একটু ফিরে দেখি, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৪০১ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৪ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন সাত জন। ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন ১০৯ জন। এর মধ্যে একজনকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে ২১ জন নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র – আসক এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ জন নারী। এদের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২১ টি এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮ জন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর ওয়েবসাইট ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গবেষণা প্রতিবেদনে নারী নির্যাতনের নানা তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ধর্ষণের শিকার ৫৭ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী রয়েছেন। অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন জন কিশোরী ও ১৪ জন নারী, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন দুই জন নারী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ১৯টি, যৌন হয়রানি ২৬টি, শারীরিক নির্যাতনের ৩৬টি ঘটনা ঘটেছে এই মাসে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মার্চে চারদিনের সংবাদ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় শিশু, গর্ভবতী নারী, বিশেষভাবে সক্ষম নারী, কেউই রেহাই পাননি যৌন নির্যাতন থেকে।
৬ মার্চ: মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ‘ধর্ষণের শিকার’ শিশু (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম), ৭ মার্চ: চিপস কিনে দিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ (বাংলা ট্রিবিউন) ৮ মার্চ: খাবার ও বেলুনের লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার (প্রথম আলো), ৮ মার্চ: ফরিদপুরে সাইকেলে ঘোরানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর আটক (যমুনা টেলিভিশন), ৮ মার্চ: শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, সালিসে দেড় লাখ টাকা জরিমানা, বাকি ৫৮ হাজার (আজকের পত্রিকা), ৯ মার্চ: এবার গাজীপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণও করলো ধর্ষক (ঢাকা ট্রিবিউন), ৯ মার্চ: সীতাকুণ্ডে সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মায়ের মামলা (আজকের পত্রিকা), ৯ মার্চ: নরসিংদীতে ৩ দিন আটকে রেখে গর্ভবতী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ (যমুনা টেলিভিশন), গত দুই দিনে (বুধ ও বৃহস্পতিবার) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২টি দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ১৪টি ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছে।এ থেকে আমরা কী বুঝি? ধর্ষণ কোন রকমেই থামছে না। ২০ মার্চ প্রথম আলোর তথ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তিন ঘণ্টায় চার শিশু-কিশোরীসহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ষণ কী আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়ে মহামারী আকার ধারণ করছে না কি প্রকাশ পাচ্ছে? আমার ধারণা ধর্ষণ আগের মতই হচ্ছে। এখন মিডিয়ার বদৌলতে বা মানুষ সচেতনতার কারণে ধর্ষণ প্রকাশিত হচ্ছে জনসম্মুখে।
ধর্ষনের মতো অপরাধ যারা করছে তারা সমাজে ঘুরে বেড়াবে, আর যারা নির্যাতনের শিকার তাদের কাঁদতে কাঁদতে বিচার চাইতে হবে। সমাজে এমনটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এই পরিস্থিতিকে আমাদের পরিবর্তন করতেই হবে। যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিগত বছরগুলোতে যেমন বিচারহীনতার সংস্কৃতি ছিল, সেটা থেকে আমাদের বের হতেই হবে।’
আইন কানুন যা আছে তা আছে, তবে আসল কথা পুরুষদের মাইন্ড-সেট বা মানসিকতায় আনতে হবে পরিবর্তন । নারীদের যে একটা আলাদা ব্যক্তি পরিচয় আছে, সেটাকে সম্মান দিতে হবে৷ মহিলা বলেই তাঁকে অন্য চোখে দেখতে হবে, এ কেমন কথা? এখানে সরকারের চেয়ে বড় ভূমিকা পুরুষ নাগরিক সমাজের।”
ধর্ষণ প্রতিরোধে করনীয়
যে কোনো পরিস্থিতিতে নিরাপদে থাকার দায়িত্ব প্রথমত ব্যক্তির নিজের। যৌন সহিংসতা, এর নেতিবাচক প্রভাব, শাস্তি এবং করণীয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং সচেতনতা প্রাক-কৈশোর ছেলেমেয়েদের থাকা জরুরি, কারণ সচেতনতা মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে। এই বয়সেই পরিবারে এবং স্কুলে ‘লিঙ্গের ভিন্নতা/যৌনতা এবং সম্পর্ক (ংবী ধহফ ৎবষধঃরড়হংযরঢ়) বিষয়ে ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদান সময়ের দাবি। এতে সুস্থ সম্পর্ক বিষয়ে ধারণা এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সম্মান-সহানুভূতি তৈরি হয়। যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তির করণীয়সমূহঃ
প্রথমত, ধর্ষণের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা। যেমন, অপরিচিত ব্যক্তি, অনিরাপদ/নিরিবিলি স্থান। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তির যৌন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বুঝতে চেষ্টা করা এবং সে অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া। আস্থাশীল বন্ধু তৈরি করা এবং দলে চলাফেরা করার চেষ্টা করা বিশেষ করে সন্ধ্যার পর। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রস্থান করা, দৌড়ানো এবং যত জোরে সম্ভব চিৎকার করে আশপাশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। মরিচগুঁড়ো/ঝাঁঝালো স্প্রে, প্রয়োজনীয় আত্মরক্ষামূলক হাতিয়ার সঙ্গে রাখা এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা। বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করা।
যেমন, আক্রান্ত হবার আগেই চাবির গোছা, ব্যাগ বা হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে আক্রমণকারীকে আঘাত করা।
ধর্ষণ-পরবর্তী করণীয় এবং বিচার
ধর্ষণের শিকার নারীকে সহানুভূতির সঙ্গে সহযোগিতা করা একটা মানবিক দায়িত্ব। কারণ ধর্ষণ নারীর দোষে ঘটে না, বরং ধর্ষক একজন ভয়ংকর অপরাধী। এ সময় যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার চাপ সহ্য করা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে, যা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করতে পারে। জীবন অনেক মূল্যবান, তাছাড়া আত্মহত্যা কখনো সমস্যার সমাধান নয়। ধর্ষণের শিকার নারীর কঠোর নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি। তার পরিচয়মূলক তথ্য কখনোই প্রকাশ করা যাবে না। ধর্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ, কিন্তু ভুক্তভোগীর জীবনে ধর্ষণের তাত্ক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক-মানসিক-সামাজিক প্রভাবের তুলনায় প্রচলিত শাস্তির ধরনে পরিবর্তন দরকার মনে করি। যতদ্রুত সম্ভব অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সর্বচ্চো শাস্তি প্রদান করতে হবে। যাতে অপরাধের শাস্তি দেখে পরবর্তীতে অপরাধী অপরাধ থেকে দুরে থাকতে পারে।
দেশে শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের পরিমাণ দিনদিন বেড়েই চলেছে। শিশুরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার মূল হাতিয়ার। কিন্তু প্রতিদিনের খবরের কাগজে শিশু ধর্ষণের মতো ঘৃণিত অপরাধের কথা উঠে আসছে। বেশির ভাগ শিশুই ধর্ষিত হচ্ছে তাদের গৃহশিক্ষক, নিকটাত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের দ্বারা। শিশু ধর্ষণ সমাধানে করণীয় হচ্ছে-প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো, শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমাদের সকলের মন-মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। তৃতীয়ত, এই জঘন্য অপরাধের জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মৃত্যুদন্ডই এই অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত।
পরিশেষে বলবো,ধর্ষণ, ধর্ষণই, এটা একটা সিরিয়াস অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। অতএব এখানে শব্দ নিয়ে তার সাহিত্যিক গুণাগুণ বিচার করার বিষয় না।দায়িত্বশীল পদে থেকে নারী নির্যাতনের আওতায় ধর্ষণকে সংজ্ঞায়িত না করার অনুরোধ করছি। ” ধর্ষণ নারীর সাথে সংগঠিত এমন একটা অপরাধ যেটার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, এটিকে ঢেকে বলার কিছু নেই। সাধারণ নারী নির্যাতনে শারীরিক নির্যাতন হয়, কিন্তু ধর্ষণে শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, বলা হয় নারীর আত্মাকেও নির্যাতন করা হয়। অতএব, ধর্ষণ, ধর্ষণই। “