দামুড়হুদায় পাখিভ্যান মটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত হয়েছে আহত হয়েছে আরো ৩জন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের সন্নিকটে মোটরসাইকেল ও পাখিভ্যানের মখোমুখি সংঘর্ষে পাখিভ্যান যাত্রী নুরজাহান বেগম নিহত হয়।
এসময় পাখিভ্যান চালক বাবলু (৫০) যাত্রী জামেনা খাতুন (৬৫) ও গঞ্জনা বেগম (৮০) নামে ৩ জন মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাখিভ্যান চালক বাবলুর অবস্থা আশংঙ্খা জনক।
নিহত নুরজাহান বেগম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানার আকুন্দবাড়িয়া তামাল তলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত.দাউদ আলীর স্ত্রী। আহত হয়েছে একই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে পাখিভ্যান চালক বাবলু, মৃত শমসের মন্ডলের স্ত্রী জামেনা খাতুন ও মৃত ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী গঞ্জনা বেগম ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা তুলার জন্য পাখি ভ্যান যোগে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথে দামুড়হুদা থানাধীন লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাতনামা মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাখি ভ্যানে থাকা উক্ত ব্যক্তিরা পাখি ভ্যান থেকে পাকা রাস্তার উপর সিটকে পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার, আফরিন ইসলাম পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নুরজাহান বেগমকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এবং বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে রাখেন। মৃত নুরজাহানের লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার জ্যোতি জানান, হাসপাতালে আসার আগেই নুরজাহান বেগম মারা যায়। আহত তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান কাজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় লাশের ময়না তদন্ত না করে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।