মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া মহব্বতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
এসকল অভিযোগ তুলে গ্রামবাসী গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পত্র দুটি মেহেরপুর প্রতিদিনেও পৌছানো হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ যৌথভাবে ৫ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেন। নিয়োগের নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোট ৩২ লক্ষ টাকা আদায় করা হয় উন্নয়ন ফান্ডের নামে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কামরুন্নাহারের কাছে থেকে ১২ লাখ, নাইট গার্ড ওসমানের কাছে থেকে ১০ লাখ, মালি জাবির থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে প্রধান শিক্ষক নিজ বোনের ছেলের নিয়োগের বিনিময়ে ১৫ কাঠা জমি নিজের নামে লিখে নেন এবং সভাপতি তার নিজের ছেলেকে পিয়ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, স্কুলের নামে থাকা ১১টি দোকান থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করা হলেও গত ১৫ বছরের কোনো হিসাব প্রদান করা হয়নি। এ বিষয়ে জবাবদিহি চাইলে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি একে অপরকে দায় দিয়ে গড়িমসি করছেন। গ্রামবাসীরা অভিযোগের বিষয়ে দুদক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এসকল অনিয়মনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
তবে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মুকুল মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, শুনেছি আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেছে। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো ভুয়া তথ্য। বর্তমান এডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ তোলা হয়েছে।