জমি কিনে বে-কায়দায় পড়েছেন লক্ষিকুন্ড-বালিয়াডাঙ্গা ইক্ষু ক্রয় সমিতির সদস্যরা। মালিক বিক্রিত জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে দখল করার নীল নকশা করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ অবস্থা চলছে কোটচাঁদপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে।
সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল মুকিত খান বলেন,১৯৯১ সালের দিকে সাবদারপুর এলাকায় আখের চাষ হত বেশ । এ কারনে প্রয়োজন হয়ে পড়ে,একটা ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের। ডাকা হয় লক্ষিকুন্ড, বালিয়াডাঙ্গা সহ ৮ গ্রামের মানুষকে। সিদ্ধান্ত হয় ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্র করার। এরপর চলে জমির খোঁজ।
সে সময় জমির মালিক মঈন উদ্দিন মন্ডল জমি দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দাবি করেন জমি বাবদ ৪৫ হাজার টাকা। এরপর সবার কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে দেয়া হয় ওই জমির মালিককে। জমিটি ছিল বালিয়াডাঙ্গা মৌজার। যার খতিয়ান নাম্বার ২০৯, আর দাগ নাম্বার ৫১। জমির পরিমাণ ছিল ৬৩ শতক।
ঐই জমিতেই প্রতিষ্ঠা করা হয় লক্ষিকুন্ড- বালিয়াডাঙ্গা ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রটি। এরপর ওই জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য বললে,জমির মালিক বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। কিছু দিন পর তিনি মারা যান। এরপর ওই জমির ওয়ারিশগণরা জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে দখল নিতে নীল নকসা করতে থাকেন। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতের শরাপন্ন হই। যা এখনও আদালতে চলমান রয়েছে। এরপরও তারা জমি দখল নিতে বিভিন্ন টাল-বাহানা অব্যহত রেখেছেন।
এ ব্যাপারে জমির মালিকের ছেলে চুটিয়ার রহমান জানান, ওই জমি আমার পিতা তাদের কাছে বিক্রি করেনি। তিনি মিলের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তি করেছিলেন। সে চুক্তি নামা আমাদের কাছে আছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ২৫ শ টাকাও আমরা নিয়ে থাকি। তবে জমি নিয়ে মামলা হওয়ার পর, মিল পক্ষ ভাড়া দিচ্ছে না। আর আমরাও জোরাজুরি করছিনা।
তিনি আরো বলেন, ওই জমির নিয়ে যে,মামলা আদালতে চলছিল, তাঁর রায়ও আমরা একবার পেয়েছি। এরপরও আমরা দখলে যেতে পারছিনা।কারন তারা ক্ষমতা দেখিয়ে দখল করে রেখেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সাবদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনাটি আমি জানি। তবে তারা এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। আসলে বসে মিমাংসা করা যায় কিনা দেখা যেতে পারে।