ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নব-নির্বাচিত এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ঝাটা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সোমবার বিকালে খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসার সামনে উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর বিরুদ্ধে এই ঝাটা মিছিল ও বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগে তারা সেখানে শত শত গ্রামবাসির উপস্থিতিতে বিক্ষোভ সমাবেশে করে। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মাসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামসহ অনেকে।
মারপিটের শিকার তুহিন রেজা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তৃত্বীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পুরুষ মেম্বর পদে ভোটের ফলাফলে টিউবয়েল প্রতিকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম ফেল করে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে রাত ৭ টার দিকে বিজয়ী ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমি সহ আমাদের কয়েকজনকে মারধর ও দুইটি বোমার বিস্ফোরন ঘটায় তারা। এসময় অভিযোগ করা হয় চেয়ারম্যান অপু নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মারপিট ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
ওইদিন রাতেই এলাকাবাসি এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা -খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়েই পুলিশ ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত সুষ্ট করে বিচারের আশ্বাস দিলে আধাঘন্টা পর এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।
চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তবে আমার ছেলেরা একজনকে চড় মারাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এরপর রাতেই আমার প্রতিপক্ষের কয়েকজনের প্ররোচনায় তারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করে। আজ আবার তারা সমাবেশ করেছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ভোট পরবর্তি হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়েই তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানাতে কোন অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।